Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

স্বাস্থ্য কি - স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝায়

স্বাস্থ্য কি, সুস্বাস্থ্য কি, সামাজিক স্বাস্থ্য কি, মানসিক স্বাস্থ্য কি, সামাজিক স্বাস্থ্য কি কি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, স্বাস্থ্য হচ্ছে একজন ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বাঁ ভালো থাকার (ওয়েলবিং) একটি পূর্ণাঙ্গ অবস্থা; কেবলমাত্র রোগ কিংবা দুর্বলতা না থাকাই নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই সংজ্ঞানুযায়ী একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্যের চারটি দিক রয়েছে। যেমন:

১। শারীরিক: শরীরের বিভিন্ন বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ শারীরিক স্বাস্থ্যের অন্তর্ভুক্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মানব দেহের গঠন ও কার্যক্রমকে যথাক্রমে এনাটমি ও ফিজিওলজি নামে অবহিত করা হয়। যে ব্যক্তির শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো আছে তার শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং প্রক্রিয়াগুলো ভালোভাবে কাজ করছে বলা যায়। এটি শুধুমাত্র রোগের অনুপস্থিতির কারণেই নয়। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম পুষ্টি এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম সবই শারীরিক সুস্বাস্থ্যের জন্য অবদান রাখে। শারীরিকভাবে সুস্বাস্থের অধিকারী একজন ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং প্রত্যাহিক জীবনের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড সাধারণত নিজে নিজেই সম্পাদন করতে পারেন।

২। মানসিক: মানসিক স্বাস্থ্য হচ্ছে স্বাস্থ্যের এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের সক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারে, জীবনের স্বাভাবিক চাপের সাথে মোকাবিলা করতে পারে এবং উৎপাদনশীল এবং ফলপ্রসূভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে তার সামাজিক গোষ্ঠী বা কমিউনিটিতে কার্যকরভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

৩। সামাজিক স্বাস্থ্য: সামাজিক স্বাস্থ্য বলতে সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গঠন ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে সংযুক্ত হবার ও অবদান রাখার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত সক্ষমতাকে বুঝায়। এটি বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতিতে আমরা কতটা স্বাচ্ছন্দে মানিয়ে নিতে পারি তার সাথেও সম্পর্কযুক্ত। সামাজিক সম্পর্ক আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, শারীরিক স্বাস্থ্য এবং আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। 

৪। আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য: আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য বলতে একটি অতিমানবীয় শক্তির উপর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি স্থাপন করে বিভিন্ন কর্মকান্ড ও আচরণের মাধ্যমে একটি উদ্দেশ্যপূর্ণ জীবনের সামগ্রিক বিষয়কে বুঝানো হয়। আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য মানুষের জীবনের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক দিকগুলোর মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করে।