মেথির গুণাগুণ অনুযায়ী একে অন্যতম সুপারফুড বলা হয়ে থাকে। কেন সুপারফুড বলা হয় তা বিস্তারিত -
শীত একটু একটু করে আসছে। বাড়ছে সর্দিকাশিও।নিয়মিত মেথি খেলে দুর হবে সর্দিকাশির সমস্যা। আসুন জেনে নেওয়া যাক মেথির গুণাগুণ সম্পর্কে:
মেথির উপকারিতা
❏ মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দিকাশি কমবে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।
❏ রক্তের চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী এই মেথি।
❏ অন্ত্রের নড়াচড়া বৃদ্ধি করে মেথি। যাঁদের পেট জ্বালা বা হজমে সমস্যা আছে, তাঁরা নিয়মিত মেথি খেতে পারেন। এতে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। মেথি ঝরানো পানি খেলেও হজমের সমস্যা দূর হবে। এমনকি পেপটিক আলসার সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে।
❏ শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির সবচেয়ে বড় উৎস মায়ের বুকের দুধ, তবে অনেক মাকে স্তন্যদানের জন্য প্রয়োজনীয় দুধ পেতে বেগ পেতে হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মেথি দানা মিশিয়ে হারবাল চা পানে বুকের দুধ বাড়ে, যা শিশুর ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
❏ মেথি পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
❏ মেথির দানা ক্যান্সারের মতো রোগেরও প্রকোপ কমাতে সহায়ক। অম্বল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা করে।
❏ মেথি সেদ্ধ করে সারা রাত রেখে তার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিয়মিত মাথায় মাখলে চুল পড়া কমে। আবার চুল পড়া ঠেকাতে মেথি খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও খুশকি, ব্রণ ও ঋতুস্রাবের সময় পেটব্যথা কমাতে মেথি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
∎ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে মেথি। এক গবেষণায় দেখা যায়, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে যারা দিনে দুইবার ৫ গ্রাম করে মেথির গুড়া খেয়ে থাকেন, তাদের রক্তে শর্করার হার বৃদ্ধি রোধ হয়। একই সঙ্গে পেটের মেদও কমে।
মেথি খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ- জীবাণু মরে। আবার লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা-চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে।
সনম সুলতানা
খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ (তৃতীয় বর্ষ)
কন্টেন্ট রাইটার | 20 Minute Medical
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন