রমজানে মৃত্যু হলে কি কবরের আযাব মাফ হয়ে যায়

রমজানে মৃত্যু হলে কি কবরের আযাব মাফ হয়ে যায় - ইসলামিক প্রশ্নোত্তর - শায়েখ আহমদুল্লাহ

রমজানে মৃত্যু নিয়ে আমাদের অনেকের অনেক রকমের ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন রমজান মাসে মারা গেলে তার কবরের আযাব হয় না তার কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়। মুক্ত থাকে এবং তিনি জান্নাতি হয়ে যান। মুলত এ রকম কোনো কথা কুরআন অথবা হাদিসের কোথাও উল্লেখ করা হয় নাই।

রমাদান মাসে মৃত্যুবরণ করলে তার কবরে কোন প্রশ্নোত্তর হবে না, সওয়াল জওয়াব হবে না, কবরের আযাব হবে না, এরকম কোন কথা নাই। তবে এটা ঠিক যে, রমজান মাসের মৃত্যু সন্দেহাতীতভাবে একটা ভালো মৃত্যু বলতে পারি। ইবাদতরত অবস্থায় মৃত্যু সন্দেহাতীতভাবে একটা ভালো মৃত্যু। আল্লাহর প্রতি সুধারণা করতে পারি যে, আল্লাহ হয়তো তাকে মাফ করে দিবেন। তার প্রতি রহম করবেন। এটা শুধু আমাদের সুধারনার ব্যাপার।

শরীয়ত আমাদেরকে কিছু বলে দেয় নাই যে, এটা হলে তোমার কবরের আজাব মাফ। 

তবে শুক্রবারের মৃত্যু সম্পর্কে হাদিসে প্রমাণিত যে, শুক্রবারে মৃত্যু হলে ওই ব্যক্তির কবরের আযাব মাফ হয়। সওয়াল জবাবের যে ফিতনা, আল্লাহতা'য়ালা সেটা থেকে শুক্রবারের মৃত্যুবরণকারী কে হেফাজতে রাখেন। এটা শুক্রবারের ফজিলত।

তবে এমন মনে করা যাবেনা যে- রবি, সোমবার, শনিবার, মঙ্গলবার, বুধবার, বৃহস্পতিবার কেউ মারা গেলে এরা বোধহয় সব জাহান্নামি। অনেক অমুসলমান ও শুক্রবারে মারা যায়। মুল জিনিস হচ্ছে মানুষের আমল। কিভাবে মারা গেল এটা মুল জিনিস না। অতএব যদি ঈমানদার, আমলদার আবার শুক্রবারে মৃত্যু হয়, তবে বুঝতে হবে আল্লাহ তায়ালার বিশেষ এহসান তার প্রতি হয়েছে। আবার শনি, রবিবারে মারা গেলে যে তার প্রতি আল্লাহর এহসান হয় নাই এমনটা ও মনে করা যাবে না। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিন্তু শুক্রমারে মারা যাননি।

অতএব শুক্রবারে মারা গেলেই নেককার আর না হলে নেককার না এত সহজ ক্যালকুলেশন এর সুযোগ নাই।


উত্তর প্রধানে:
শায়খ আহমদুল্লাহ
আলোচক, লেখক ও খতীব
প্রতিষ্ঠাতা: আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

মন্তব্য করুন

নবীনতর পূর্বতন