কাযা নামায আদায়: শরয়ী দৃষ্টিকোণ

কাযা নামায আদায়: শরয়ী দৃষ্টিকোণ | কাজা নামাজের নিয়ত | কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম | কাজা নামাজের নিয়ম কানুন | কাজা নামাজ আদায় করার নিয়ম

ইসলামী শরীয়তে ঈমানের পরই নামাযের গুরুত্ব ও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে,নামায ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ ও অন্যতম নিদর্শন। উম্মতের আলেমগণ এব্যাপারে যে, ফরয নামাযকে ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেওয়া অনেক বড় গোনাহ কাজ। ইসলামে নামাজ ত্যাগ করা ব্যভিচার, চুরি ও মদ পানের চেয়েও বড় পাপ। তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জরুরি হলো যথাসময়ে গুরুত্বের সাথে প্রত্যেক নামায আদায় করে নেওয়া।

পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয। কখনো কোনো ওয়াক্তের ফরয নামায ছুটে গেলে কিংবা দীর্ঘকাল অবহেলাবশত নামায না পড়লে পরবর্তীতে এর কাযা আদায় করতে হবে। এ বিষয়টি সহীহ হাদীস,আছার ও ইজমায়ে উম্মত দ্বারা প্রমাণিত। হাদীস শরীফে এসেছে-

ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﺮﻗﺪ ﻋﻦ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺃﻭ ﻳﻐﻔﻞ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻝ : ﻛﻔﺎﺭﺗﻬﺎ ﻳﺼﻠﻴﻬﺎ ﺇﺫﺍ ﺫﻛﺮﻫﺎ

হযরত আনাস বিন মালিক রা.থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. কে নামায রেখে ঘুমিয়ে যাওয়া ব্যক্তি ও নামায সম্পর্কে গাফেল ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন-এর কাফফারা হল যখনই নামাযের কথা স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নিবে।

-সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস -৯৯১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৩২৬২,সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১৫৮৫

ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ : ﺃﻥ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺟﺎﺀ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺨﻨﺪﻕ ﺑﻌﺪﻣﺎ ﻏﺮﺑﺖ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﻓﺠﻌﻞ ﻳﺴﺐ ﻛﻔﺎﺭ ﻗﺮﻳﺶ ﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎ ﻛﺪﺕ ﺃﺻﻠﻲ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺣﺘﻰ ﻛﺎﺩﺕ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﺗﻐﺮﺏ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ‏( ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎ ﺻﻠﻴﺘﻬﺎ ‏) . ﻓﻘﻤﻨﺎ ﺇﻟﻰ ﺑﻄﺤﺎﻥ ﻓﺘﻮﺿﺄ ﻟﻠﺼﻼﺓ ﻭﺗﻮﺿﺄﻧﺎ ﻟﻬﺎ ﻓﺼﻠﻰ ﺍﻟﻌﺼﺮ ﺑﻌﺪﻣﺎ ﻏﺮﺑﺖ ﺍﻟﺸﻤﺲ ﺛﻢ ﺻﻠﻰ ﺑﻌﺪﻫﺎ ﺍﻟﻤﻐﺮﺏ
হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত-ওমর বিন খাত্তাব রা. খন্দকের দিন সূর্য ডুবার পর কুরাইশ কাফেরদের তিরস্কার করতে করতে এলেন। নবীজী সাঃ কে বললেন-“হে আল্লাহর নবী! আমি আসরের নামায পড়তে পারিনি এরই মাঝে সূর্য ডুবে গেছে”।
নবীজী সাঃ বললেন-“হায় আল্লাহ! আমরাও তো পড়তে পারিনি! তারপর আমরা সমতল ভূমিতে দাঁড়ালাম। আর তিনি নামাযের জন্য অযু করলেন। আর আমরাও নামাযের জন্য অযু করলাম। তারপর সূর্য ডুবে গেলেও প্রথমে আমরা আসর পড়লাম। তারপর মাগরিব পড়লাম। -সহীহ বুখারী শরীফ-হাদিস নং ৫৭১,৫৭৩,

ﺃَﻥَّ ﻋَﺒْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦَ ﻋُﻤَﺮَ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﻘُﻮﻟُﻤَﻦْ ﻧَﺴِﻲَ ﺻَﻠَﺎﺓً ﻓَﻠَﻢْ ﻳَﺬْﻛُﺮْﻫَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻭَﻫُﻮَ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﺈِﻣَﺎﻡِ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟْﺈِﻣَﺎﻡُ ﻓَﻠْﻴُﺼَﻞِّ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﻧَﺴِﻲَ ﺛُﻢَّ ﻟِﻴُﺼَﻞِّ ﺑَﻌْﺪَﻫَﺎ ﺍﻟْﺄُﺧْﺮَﻯ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. বলতেন-যে ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে যায় তারপর তা স্মরণ হয় ইমামের সাথে জামাতে নামাযরত অবস্থায়, তাহলে ইমাম সালাম ফিরানোর পর যে নামায ভুলে পড়েনি, তা আদায় করবে, তারপর অন্য নামায পড়বে। 

-মু্য়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৫৮৪,সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩০১২

আর কাযা নামায আদায়ের আবশ্যকীয়তা রাসুল সা. থেকে আমলগত ও মৌখিক উভয়ভাবেই প্রমাণিত।কেননা হাদিসগ্রন্থে দুইবার আমলগতভাবে রাসুল সা.থেকে কাযা নামায আদায়ের বিষয়টা প্রমাণিত রয়েছে। উভয় ঘটনাই অত্যন্ত প্রসিদ্ধ,একটি 'লাইলাতুত তারিসের' ঘটনা এবং অপরটি গাযওয়ায়ে খন্দকের ঘটনা।

ইহা ব্যতীত আরো অসংখ্য অগনিত হাদিস-আসার রয়েছে যা কাযা নামায আদায়ের আবশ্যকীয়তা উপর প্রমাণ বহন করে। লেখাটি দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার আশংকায় তা উল্লেখ করছি না।

 ইজমায়ে উম্মতঃ-

কাযা নামায আদায় প্রসঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল ইজমায়ে উম্মত। মুসলিম উম্মাহর সকল মুজতাহিদ ইমামগণ এব্যাপারে  একমত যে, ফরজ নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় না করলে পরে তা কাযা করতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করুক বা ওজরবশত। এ ব্যাপারে সকল পথ ও মতের ইমামগণ একমত পোষণ করেছেন। আল-মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহর মধ্যে রয়েছে :

ﻗَﺎﻝ ﻋِﻴَﺎﺽٌ : ﻭَﻻَ ﻳَﺼِﺢُّ ﻋِﻨْﺪَ ﺃَﺣَﺪٍ ﺳِﻮَﻯ ﺩَﺍﻭُﺩَ ﻭَﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺍﻟﺸَّﺎﻓِﻌِﻲِّ

অর্থাৎ কাজী ইয়ায বলেন, দাউদ ও ইবনে আবদুর রহমান ব্যতীত আর কেউই ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দিলে কাযা না করার কথা বলেন না। সবাই কাযা করার কথা বলেন। (আল-মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ ৩৪/ ২৭)

সুতরাং উমরী কাযা ভিত্তিহীন, কাযা আদায় না করে শুধু তাওবাই যথেষ্ট এসব কথা মোটেও সহীহ নয়, সম্পুর্ন ভিত্তিহীন মনগড়া ।

কাযা নামায আদায় পদ্ধিতি

যে ব্যক্তি অতীতে অবহেলার কারণে বহু নামায কাযা করে ফেলছে,তার উচিত হলো সর্বপ্রথম আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হওয়া এবং এই মহা অপরাধের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভবিষ্যতের জন্য দৃঢ় সংকল্প করা যে, এখন থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাযা করবো না। তাওবা করার পর অতীতের ছুটে যাওয়া নামাযের কাযা আদায় করাও ওয়াজিব। শুধু তাওবা করলেই ছুটে যাওয়া নামায দায়িত্ব থেকে মাফ হবে না। বরং তা কাযা হিসাবেই তার দায়িত্বে রয়ে যাবে।

কাযা নামায আদায়ের পদ্ধতি হলো; বালেগ হওয়ার পর থেকে ব্যক্তির যত নামায কাযা হয়েছে সেগুলোর মধ্য থেকে কেবল ফরজ ও বিতরের নামাযসমূহের হিসাব করবে। 
যদি কাযা নামাযের সংখ্যা জানা যায় এবং তা সুনির্দিষ্ট  হয় তাহলে ধারাবাহিকভাবে সেই নামাযগুলোর কাযা আদায় করতে হবে। আর যদি সুনির্দিষ্ট পদ্ধিতিতে কাযা নামাযের সংখ্যা জানা সম্ভব না হয় তাহলে প্রবল ধারনা মোতাবেক একটা অনুমান করবে এবং যত বছর বা মাসের নামায কাযা হয়েছে সতর্কতা হিসাবে তার পরিমাণের চেয়ে কিছু সংখ্যা বেশী ধরে তা কোথাও লিখে রাখবে। এক্ষেত্রে নারীরা মাস বা বছরের যে দিনগুলিতে হায়েজ বা নেফাস অবস্থায় ছিল সে দিনগুলো বাদ দিয়ে হিসাব করবে।

অতঃপর ছুটে যাওয়া নামায কাযা আদায় করা শুরু করবে। আর কাযা নামায আদায়ের নিয়ত করা জরুরি, এবং কাযা আদায় করবে শুধুমাত্র ফরজ এবং বিতরের নামাযের, সুন্নতের বা নফলের নয়।

যদি কাযা নামায সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়, তবে তার নিয়তে সেটা আদায় করার সময় সম্পূর্ণরূপে নির্ধারণ করা আবশ্যক, অর্থাৎ,আমি অমুক দিনের অমুক নামায কাযা আদায় করছি। উদাহরণস্বরূপ,এভাবে নিয়ত করবে যে,আমি কাযা আদায় করছি, বিগত জুমআর ফজরের নামাজের ইত্যাদি।

তবে যদি সুনির্দিষ্টভাবে কাযা নামাযের দিন-তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা কঠিন হয়, তাহলে এমনভাবে নিয়ত করা যেতে পারে যে, যেমন আমি ফজরের যত নামায
কাযা করেছি, তার মধ্য থেকে প্রথম ফজরের কাযা নামায আমি আদায় করছি,যেমন যোহরের যতগুলো নামায কাযা হয়েছে তার মধ্যে আমি প্রথম যোহরের নামায আদায় করছি। এমনিভাবে বাকি নামাযসমূহ আদায়কালেও এরুপ নিয়ত করবে।

অনুরূপভাবে যদি সে প্রথমটির পরিবর্তে জিবনের শেষের দিকের কাযা নামাযের নিয়ত করে তবে তাও সঠিক হবে। যেমন এভাবে বলা যে,ফজরের যতগুলো নামাজ কাযা হয়ে গেছে তার মধ্যে আমি সর্বশেষ ফজরের কাযা নামাজ আদায় করছি।

একদিনের ছুটে যাওয়া সব নামায বা কয়েক দিনের ছুটে যাওয়া নামায এক ওয়াক্তে পড়াও জায়েয।

এছাড়াও,ছুটে যাওয়া কাযা নামায আদায় করার এটিও একটি সহজ উপায় যে,প্রত্যেক ওয়াক্তের ফরজ নামায আদায় করার সময় সেই ওয়াক্তের একটি কাযা নামাযও আদায় করা। যেমন ফজরের সময় ওয়াক্তিয়া নামায পড়ার পাশাপাশি অতীতের ফজরের একটি কাযা নামাযও আদায় করা। যোহরের ওয়াক্তিয়া নামাযের সাথে যোহরের একটি কাযা নামাযও পড়ে নেওয়া এবং যে পরিমাণ নামায কাযা আদায় করেছে তা রেকর্ড ফাইল থেকে কেটে দেবে। এতে করে এক মাসে তার এক মাসের কাযা,এক বছরে এক বছরের কাযা অতি সহজেই আদায় করে ফেলতে পারবে ইনশাআল্লাহ। -দুররে মুখতার ২/৭৬, ফাতাওয়ায়ে শামী ২/৭৬ বিন্নুরি টাউন ওয়েবসাইট

 
কাযা নামায আদায়ের সময়

তিনটি মাকরূহ সময় ব্যতীত যে কোন সময় কাযা নামায পড়া যায়:

 ১.সূর্য উদিত হওয়ার সময় থেকে এক বা দুটি বর্শা পরিমাণ উদিত হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ইশরাকের ওয়াক্ত হওয়া পর্যন্ত।

২.দুপুরের সময় যখন সূর্য পুরাপুরি মাথার উপর অবস্থান করে যাকে "ইসতাওয়াউশ শামস" বলা হয়, তার পাঁচ মিনিট আগে এবং পাঁচ মিনিট পরে সতর্কতা হিসাবে কোনো নামায পড়া জায়েয নেই।

৩.সূর্যাস্তের আগে যখন সূর্য হলদে হয়ে যায়, সেই সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

এই তিন সময় ব্যতীত যে কোনো সময় কাযা নামায পড়তে পারবে।
 
তবে আসর ও ফজরের নামাযের পর এবং সুবহে সাদিকের পর থেকে  ফজরের নামাযের আগে জনসম্মুখে বা মসজিদে কাযা নামায পড়া উচিত নয়।
এই সময়গুলোতে যদি কাযা নামায পড়তে হয়,তাহলে এমন জায়গায় আদায় করবে যেখানে লোকে তা দেখতে পাবে না। কারণ এতে অন্য কেউ ভুল বুঝতে পারে। তাই এই সময়গুলোতে কাযা আদায় করতে চাইলে তা ঘরে পড়াই ভাল হবে। আর সূর্য হলুদ বা নিস্তেজ হয়ে গেলে কাযা নামায বা যে কোনো নফল পড়া নাজায়েয। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি ১/৫২)

সূর্যোদয়ের সময় নামায আদায় করা নিষেধ। এ সময় ফজরের ফরয নামায বা কোনো কাযা পড়াও সহীহ নয়। পড়লে তা আদায় হবে না। তাই পরে তা কাযা করে নিতে হবে। অনুরূপ যদি সূর্যোদয়ের পূর্বে নামায শুরু করার পর নামায অবস্থায় সূর্য উদিত হয়ে যায় তবে সেটিও পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ১/৩২৯

কাযা নামাযের আযান ইকামত

কাযা নামাযের জন্যও আযান ও ইকামত দেওয়া সুন্নত। তবে আযান ইকামত না দেওয়ার কারণে বিগত দিনের কাযা নামায পুনরায় পড়তে হবে না।

যদি কোনো ব্যক্তির দায়িত্বে একাধিক কাযা নামায  থাকে এবং সে একই মজলিসে তা আদায় করতে চায়, তাহলে প্রথম নামাযের জন্য আযান ও ইকামাত উভয়ই বলা সুন্নত এবং বাকিগুলোর ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছাধিকার  রয়েছে, চাইলে আযান ও ইকামাত উভয়ই বলতে পারবে,আবার চাইলে শুধু ইকামাত বলার উপরই যথেষ্ট করতে পারবে। অবশ্য যদি এই নামাযগুলো পৃথক পৃথক মজলিসে আদায় করা হয়,তাহলে প্রতিটি নামাযের জন্য আযান ও ইকামাত বলা সুন্নত। ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ১/৫৫

উল্লেখ্য একাকী কাযা আদায় করলে নিম্নস্বরে আযান ও ইকামত দিবে। এমনিভাবে যদি কোনো মসজিদে কাযা নামায আদায় করা হয়  তাহলে জামাতে পড়লেও উঁচু আওয়াজে আযান ইকামত দেওয়া যাবে না; বরং শুধু জামাতের লোকজন শুনতে পায় এবং অন্যদের বিঘ্ন না ঘটে এতটুকু উঁচু শব্দ করতে পারবে।

রেফারেন্স ___

- জামিয়া ইসলামিয়া বিন্নুরি টাউন,করাচী;সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস : ৯৯৭; সুনানে নাসায়ী ১/৭৬-৭৭; কিতাবুল আছল ১/১৩৫; আল বাহরুর রায়েক ১/২৬১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৮০ ফাতাওয়া আলমগিরি ১/১২১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩২৯; আল মাবসূত, সারাখসী ১/১৫০; শরহু মুখতাসারিত তহাবী ১/৫৪৩; হালবাতুল মুজাল্লী ১/৬৫৫; আল মুহীতুল বুরহানী ২/১০; রদ্দুল মুহতার ১/৩৭৫; ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি ১/৫২

উত্তর প্রদানে:
মুফতী মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম
হানাফী ফিকহ-Hanafi Fiqh

মন্তব্য করুন

নবীনতর পূর্বতন