বই পরিচিতি :
বইয়ের নাম: পথের পাঁচালীলেখকের নাম: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বইয়ের ধরণ: উপন্যাস PDF বই
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৭৬ পৃষ্ঠা
ফাইল সাইজ : ৮ এম.বি
বই সম্পর্কে :
"পথের পাঁচালি” বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর একটি অনন্য উপন্যাস। তার, অকৃত্রিম হাতের লেখনী একটি সাধারণ গ্রামের দুই ভাই-বোনের বেড়ে ওঠার সাধারণ চিত্র অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে।
পথের পাঁচালী” উপন্যাসটি মোট ৩টি খণ্ডে বিভক্ত ও এর মোট ৩৫টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত।
প্রথম খণ্ডঃ বল্লালী বালাই (পরিচ্ছেদ ১-৬ পর্যন্ত) প্রথম খণ্ডে বলা হয়েছে ইন্দির ঠাকরূণের বর্ণনা।
দ্বিতীয় খণ্ডঃ আম-আঁটির ভেঁপু (পরিচ্ছেদ ৭- ২৯ পর্যন্ত ) দ্বিতীয় খণ্ডে বলা হয়েছে অপু আর দুর্গার একসাথে বেড়ে ওঠা, তাদের চঞ্চল শৈশব, দুর্গার অকাল মৃত্যু, অপুর সপরিবারে কাশীযাত্রা চিত্রিত হয়েছে।
তৃতীয় খণ্ডঃ অক্রূর সংবাদ (পরিচ্ছেদ ৩০-৩৫ পর্যন্ত) অপুদের কাশীজীবন, সেখে বসবাস কালে হরিহরের মৃত্যু, সর্বজয়ার কাজের জন্য কাশীত্যাগ এবং পরিশেষে নিশ্চিন্দিপুরে ফিরে আসার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।
এ উপন্যাসের প্রথম অংশে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থার অন্যতম ত্রুটি বাল্যবিবাহ ও যৌতুককে দানবীয় আকার ধারণ করতে দেখা যায়। ইন্দির ঠাকুরনের বিয়ে অল্পবয়সে এমনই এক লোকের সাথে দেয়া হয়, যে বেশি যৌতুকের লোভে অন্যত্র বিয়ে করে এবং আর কখনও ফিরে আসে না। তখন আয়হীন ইন্দির ঠাকুরনের আবাসস্থল হয় তার পিতার বাড়িতে, এবং তাদের ও তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার দূরসম্পর্কের আত্মীয় হরিহরের বাড়িই তার স্থান হয়। সেখানে প্রতিমুহূর্তে তাকে মনে করিয়ে দেয়া হয়, সে একজন আশ্রিত। করুণার পাত্রী। সে প্রায়শই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত। কিন্তু দিনশেষে তার পথ এসে শেষ হতো হরিহরের বাড়িতেই। একবার ঘটনাক্রমে বাড়ি থেকে তাকে একেবারে বের করে দেয়া হয় এবং মর্মান্তিকভাবে তার জীবনের ইতি ঘটে।
উপন্যাসের দ্বিতীয় অংশ "আম আঁটির ভেঁপু", যা মূলত অপু ও দূর্গাকে নিয়ে লেখা। দুর্গা আর তার পুতুলের মত আদুরে ছোট্ট ভাই অপু। অভাবের সংসারে তাদের বেড়ে ওঠা, শৈশবের দুরন্তপনা, কল্পনার জগতে মন খুলে উড়া। অযত্ন আর না পাওয়ার মাঝেই বাড়তে থাকে দুটি শিশু। কিন্তু ভাই বোন একে অপরের প্রান। দুর্গার সারাটা দিন গ্রামের মাঝে ঘুরে বেড়ায়, কার গাছে আম পেকেছে, কোন জঙ্গলে ফুল ফুটেছে তা তার নখদর্পন। অপুর সবচেয়ে কাছের মানুষ ছিলো তার দিদি দূর্গা। কিন্তু তার কাছের মানুষ এই দিদিই একদিন হারিয়ে যায় পৃথিবী থেকে। সেই কষ্টের স্মৃতি মুছতে না মুছতেই আরও পরিবর্তন আসে তার জীবনে। দারিদ্রতার কারণেই একসময় গ্রামের পাট চুকিয়ে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে তাদের চলে যেতে হয় কাশীতে।
উপন্যাসের শেষ অংশ ‘অক্রুর সংবাদে’ চিরাচরিত বাংলার বড়লোক-গরিবের বৈষম্যের কথা তুলে ধরা হয়েছে। দূর্গার মৃত্যুর পর তারা গ্রামত্যাগ করে অন্যত্র চলে যায়। সেখানে এক পর্যায়ে জ্বরে স্বামী হরিহরও মারা যায়। তার চোখের অশ্রু মোছার জন্যও কেউ ছিল না। সবাই তার কষ্টের সুযোগ নিতে চায়। অর্থের জন্য তাকে কাজের লোকের কাজ করতে হয়। অবশেষে সে অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ছেলে অপুকে নিয়ে তার নিজ গ্রাম নিশ্চিন্দিপুরের পথে রওনা হয়। কিন্তু সে তার সঠিক পথ খুঁজে পায় না।
বস্তুত এ উপন্যাস আদি ও বর্তমান সামাজিক উত্থান-পতন ও সামাজিক কুসংস্কারের প্রতিচ্ছবি।
© বই রিভিউ: নুসরাত জাহান লোপা
অস্বীকৃতি :
আমাদের সাইটের PDF বইগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত। প্রকাশণীর অনুমতি ছাড়া আমরা কখনো নিজে PDF ফাইল তৈরি করিনা। বইগুলো যেহেতু সংগৃহীত তাই আমাদের উপর প্রকাশণীর কোন অভিযোগ গণ্য হবে না। সেক্ষেত্রে যে PDF ফাইল'টি তৈরি করেছে তার কাছে Claim করতে পারেন।
পরামর্শ :
ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। বইটি ডাউনলোড না হলে অথবা ডাউনলোড করতে কোনো ধরনের সমস্যা হলে VPN - ভিপিএন ব্যবহার করুন। ধন্যবাদ।
পথের পাঁচালী PDF বই
নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত লিখুন :