সাধুভাষা
❏ সাধুভাষায় তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি। যেমন: পক্ষী, হস্তী, সৌষ্ঠব, কেদারা ইত্যাদি।
❏ সাধুভাষায় সমাসবদ্ধ শব্দ অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন : কাজলকালাে, নববর্ষ, ভাবােদয় ইত্যাদি।
❏ সাধুভাষায় ক্রিয়াপদগুলাে পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন : খাইতেছিলাম, হাঁটিতেছি, করিয়াছি ইত্যাদি।
❏ সাধুভাষায় সর্বনামের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন: তাহাদিগকে, ইহাকে, কাহাকে ইত্যাদি।
❏ সাধুভাষায় অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন : হইতে, অপেক্ষা, দ্বারা, নিমিত্ত।
❏ সাধুভাষা বক্তৃতা, কথােপকথন ও নাটকের সংলাপের অনুপযােগী।
❏ সাধুভাষায় বহুভাষণ প্রশংসিত।
❏ সাধুভাষা গুরুগম্ভীর, কৃত্রিম ও প্রাচীন নির্ভর।
চলিত ভাষা
❏ চলিত ভাষায় তদ্ভব, দেশি, বিদেশি শব্দের ব্যবহার অধিক। যেমন : পাখি, হাতি, গঠন, চেয়ার ইত্যাদি।
❏ চলিত ভাষায় সমাসবদ্ধ শব্দগুলােকে ভেঙে সহজ করে কিংবা তদ্ভব রূপে ব্যবহার করা হয়। যেমন: কাজলের ন্যায় কালাে, নতুন বছর, ভাবের উদয় ইত্যাদি।
❏ চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদগুলাে সংক্ষিপ্তরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন : যাচ্ছিলাম, হাঁটছি, করেছি ইত্যাদি।
❏ চলিত ভাষায় সর্বনামের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন : তাদের, একে, কাকে ইত্যাদি।
❏ চলিত ভাষায় অনুসর্গের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা হয়। যেমন : হতে, চেয়ে, দিয়ে, জন্য ইত্যাদি।
❏ চলিত ভাষা বক্তৃতা, কথােপকথন ও নাটকের সংলাপের উপযােগী।
❏ চলিত ভাষায় মিতভাষণ সমাদৃত।
❏ চলিত ভাষা চটুল, স্বাভাবিক ও যুগােপযােগী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন