হযরত আবু বকর (রাঃ) এর বাণী

হযরত আবু বকর (রাঃ) এর উপদেশ/উক্তি/বাণী | উক্তি | ইসলামিক উক্তি | শিক্ষামূলক উক্তি | বাণী | শিক্ষামূলক বাণী | বাণী চিরন্তন বাস্তবতা | মনীষীদের বাণী | বাণী চিরন্তনী | ইসলামিক বাণী | উপদেশ মূলক বাণী | বঙ্গ টুইট

ইসলামের ত্রাণকর্তা, মুসলিম জাহানের প্রথম খলিফা এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী তৃতীয় ব্যক্তি হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর কিছু মূল্যবান উপদেশ নিচে দেওয়া হলো -

দুনিয়ার চাকচিক্য দেখে বান্দার মধ্যে যখন অহঙ্কার আসন গেড়ে বসে, তখন আল্লাহপাকও তার দুশমন হয়ে যান। 

আজকের কাজ আজই শেষ করাে; কালকের জন্য রেখে দিয়াে না।

গর্ব করাে না। সেই লােকের গর্ব করা আদৌ সাজে কি, যে মাটি হতে সৃষ্ট, মাটির সাথে মিশে যাবে এবং পােকা-মাকড় তাকে খেয়ে ফেলবে। 

আল্লাহভীরুতা অবলম্বন করাে। কেননা, তা উপকারী। আর আমল করাে। কেননা, তা কবুল হবে। 

আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বিপদাপদে তাদের পাশে এসে দাঁড়াও। 

তােমরা আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করাে। নতুবা একদিন তােমাদের কাঁদানাে হবে। 

অপব্যয় করাে না। কৃপণতা করাে না। 

ধৈর্যধারণে কোনাে সমস্যা নেই। 

জিহ্বাকে অভিযােগ থেকে সংযত রাখাে; তাহলে স্বচ্ছল জীবন লাভ হবে। 

ঐ দিনগুলাের কথা স্মরণ করে কাঁদো, যা তােমার জীবন থেকে কেটে গেছে; অথচ তুমি তাতে কোনাে ভালাে কাজ করতে পারনি। 

যাদের কান্না আসে না, তারা যেন যারা কাঁদে, তাদের প্রতি দয়ালু হয়। 

তুমি দুনিয়ায় থাকার ভাবনা ও আয়ােজনে ব্যস্ত। অথচ দুনিয়া তােমাকে তার থেকে বের করে দিতে সদা তৎপর। 

দুনিয়া-ই যার একমাত্র লক্ষ্য ও মূলধন, তার দ্বীনি ক্ষতি বর্ণনা করতে ভাষা সম্পূর্ণ অক্ষম। 

ইলমের কারণে কেউ কোনােদিন খােদায়িত্ব দাবি করেনি, যা করেছে বিত্তের গরমেই করেছে। 

তুমি আল্লাহর রাসূলের ইন্তেকালের কথা স্মরণ করাে; তাহলে তােমার কষ্ট খুব কম মনে হবে। 

হায়, কতই-না ভালাে হত যদি আমি কোনাে মুমিনের বুকের একটা পশম হতে পারতাম। 

অন্তর একটা মুর্দা; তার জীবন হলাে ইলম। ইলমও মুর্দা; তার জীবন ইলম অন্বেষণের মধ্যে নিহিত।

তিনি প্রায় সময় জিহ্বা টেনে ধরে বলতেন, এ আমাকে অনেক স্থানে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

মুমিনের জন্য এতটুকু ইলমই যথেষ্ঠ যার দ্বারা সে আল্লাহকে ভয় করতে পারে। 

বিপদাপদের মূল কারণ বাচালতা। 

যে আল্লাহর কাজে লেগে যায়, আল্লাহ তার কাজে (মানে তার প্রয়ােজন পূরণে) লেগে যান। 

উপদেশ যার মধ্যে প্রভাব ফেলে না, তার বােঝা উচিত, আমার অন্তর ঈমানশূন্য। 

চোখের পলক অন্তরের দরজা। অন্তরগত সকল অনিষ্ট এ পথ দিয়েই আসে এবং জীবনের স্বাদ ও যৌনচাহিদা সৃষ্টি হয়। তাই চোখ বন্ধ করে রাখতে পারলে সকল ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। 

মৃত্যুর সাথে সখ্য গড়ে তুলতে পারলে জীবনের বাস্তবতা অনুধাবন করতে পারবে। 

হতভাগা সে, যে নিজে মরে যায়; কিন্তু তার পাপ মরে না। অর্থাৎ এমন কোনাে কাজ করে যায়, যা তার মৃত্যুর পরেও অব্যাহত থাকে। যেমন- নাজায়েয কোনাে খেলা চালু করা, কোনাে বিদ'আতের প্রচলন ঘটানাে, নৈতিকতাবিরােধী কোনাে বই লিখে প্রচার করা ইত্যাদি।

মন্তব্য করুন

নবীনতর পূর্বতন