কুতুবউদ্দিন আইবেক এর জীবনী - Biography of Qutubuddin Aibak

কুতুবউদ্দিন আইবেক এর জীবনী - Biography of Qutubuddin Aibak - Bongo Tweet
ছবি: কুতুব মিনার, দিল্লি। © indiatoday.in

কুতুবউদ্দিন আইবেক এর প্রাথমিক জীবন 

ভারতীয় উপমহাদেশে তুর্কি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা (দিল্পী সালতানাতের প্রথম সুলতান) কুতুবউদ্দিন আইবেক জাতিতে ছিলেন তুর্কি ও তুর্কিস্তানের অধিবাসী। শৈশবে তিনি কোনাে এক ক্রীতদাস ব্যবসায়ী কর্তৃক পারস্যের নিশাপুর নামক স্থানে আনীত হন। নিশাপুরের কাজী ফখরুদ্দীন আব্দুল আজীজ কুফী তাকে স্বল্পমূল্যে ক্রয় করেন। কাজী পরিবারেই কুতুবউদ্দিন সাহিত্য, ধর্মশাস্ত্র এবং সামরিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে ওঠেন। কাজীর মৃত্যুর পর কুতুবউদ্দিন পুনরায় ক্রীতদাসরূপে বিক্রীত হলে মুহম্মদ ঘুরী তাঁকে ক্রয় করেন। তাঁর আনুগত্য, সাহসিকতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, বদান্যতা প্রভৃতি গুণে বিমুগ্ধ হয়ে মুহম্মদ ঘুরী তাকে আমীর-ই-আকুর (আস্তাবলের প্রধান) পদে নিযুক্ত করেন। 

কুতুবউদ্দিন আইবেক দেখতে সুশ্রী না হলেও বহু সদগুণের অধিকারী ছিলেন। মুহম্মদ ঘুরীর ভারত অভিযানকালে কুতুবউদ্দিন মুহম্মদ ঘুরীর অনুগমন করে সকল যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং অপরিসীম সামরিক প্রতিভার পরিচয় দেন। এ সময়েই তিনি ভারতবর্ষে যুদ্ধাভিযান সম্পর্কে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

‘আইবক’ তুর্কি শব্দ। এর অর্থ চন্দ্রদেবতা। তার আইবক নাম নিয়ে কয়েকটি মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন -
  • কুতুবউদ্দিন চন্দ্রগ্রহণকালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে পিতামাতা তাকে ‘আইবক’ নামে অভিহিত করেন। 
  • কুতুবউদ্দিনের বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলটি ভাঙ্গা ছিল বলে তিনি ‘আইবক’ নামে পরিচিত ছিলেন।
  • কুতুবউদ্দিন তুর্কিস্তানের আইবক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে সাধারণত আইবক নামেই পরিচিত হয়েছিলেন।

মুহাম্মদ ঘুরীর প্রতিনিধি - কুতুবউদ্দিন আইবেক

১১৯২ খ্রিস্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে জয়লাভ করার পর মুহম্মদ ঘুরী তাঁর বিশ্বস্ত অনুচর কুতুবউদ্দিন আইবেককে বিজিত অঞ্চলসমূহের শাসনভার এবং ভারত অভিযানের গুরুদায়িত্ব অর্পণ করে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। মুহম্মদ ঘুরীর অনুগত প্রতিনিধি হিসেবে কুতুবউদ্দিন ১১৯২ খ্রিস্টাব্দে হানসী, মীরাট, কোল, দিল্লী ও রণথম্ভাের অধিকার করেন। অতঃপর তিনি লাহাের হতে দিল্লীতে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। ১১৯৪ খ্রিস্টাব্দে ঘুরী কনৌজের রাজা জয়চন্দ্রকে আক্রমণ করতে অগ্রসর হলে কুতুবউদ্দিন মুহম্মদ ঘুরীকে কনৌজ বিজয়ে সর্বতােভাবে সাহায্য করেন। অতঃপর ১১৯৭ খ্রিস্টাব্দে কুতুবউদ্দিন দ্বিতীয় ভীমদেবকে পরাজিত করে গুজরাট অধিকার করেন। ১১৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি কনৌজ, বাউন, চাঁদোয়ার এবং ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে কালিঞ্জর ও মাহােবা প্রভৃতি স্থান অধিকার করেন। অন্যদিকে তারই সুদক্ষ সেনানায়ক মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজী বঙ্গদেশ ও বিহার বিজয় সম্পন্ন করেন। এভাবে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যেই কুতুবউদ্দিন আইবেক উত্তর ভারতের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তুর্কি আধিপত্য কায়েম করতে সক্ষম হন।


দিল্লীর স্বাধীন সুলতান - কুতুবউদ্দিন আইবেক

অপুত্রক মুহম্মদ ঘুরীর মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী কে হবেন, একদা তাকে এ প্রশ্ন করা হলে প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন-
“আমি দুই-একজন নয়, কয়েক শ' পুত্র রেখে গেলাম, যারা আমার সাম্রাজ্যকে কায়েম রাখবে এবং তাদে মধ্যেই আমি বেঁচে থাকব।” 
পুত্রদের কথা বলতে তিনি নিঃসন্দেহে তার সুযােগ্য ও বিশ্বস্ত অনুচর কুতুবউদ্দিন আইবেক, নাসিরউদ্দিন কুবাচা, তাজউদ্দিন ইয়লদুজ প্রমুখের প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করেছিলেন। যা হােক, মৃত্যুর পূর্বেই মুহম্মদ ঘুরী কুতুবউদ্দিনকে তাঁর ভারত রাজ্যের উত্তরাধিকারী মনােনীত করে ‘মালিক' উপাধিতে ভূষিত করেন। অতঃপর ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে জুন মুহম্মদ ঘুরীর মৃত্যুর ৩ মাস পর আনুষ্ঠানিকভাবে কুতুবউদ্দিনের রাজ্যাভিষেক সম্পন্ন হয়। এ সময় হতেই দিল্লীর সুলতানী সাম্রাজ্যের ইতিহাস আরম্ভ হয়। দু'বছর পর মুহম্মদ ঘুরীর ভ্রাতুস্পুত্র এবং উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত ঘুর সাম্রাজ্যের অধিপতি গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ কুতুবউদ্দিনকে এক রাজকীয় ফরমানে ‘সুলতান’ উপাধি দান করেন এবং দাসত্ব মুক্তির ছাড়পত্র প্রেরণ করেন।

স্বাধীন সুলতান হিসেবে দিল্লীর মসনদে সমাসীন হবার পর তিনি মুহম্মদ ঘুরীর বিশিষ্ট অনুচরবর্গের সাথে বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করে স্বীয় ক্ষমতাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে মনস্থ করেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি স্বীয় কন্যা ও ভগিনীকে যথাক্রমে বাউনের শাসনকর্তা ইলতুৎমিশ এবং মুলতান ও উচের শাসনকর্তা নাসিরউদ্দিন কুবাচার সাথে বিবাহ দেন এবং স্বয়ং কিরমানের শাসনকর্তা তাজউদ্দিনের কন্যাকে বিবাহ করেন। 

কিন্তু এতদসত্ত্বেও কুতুবউদ্দিন তাজউদ্দিন ইয়লদুজকে প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করতে সক্ষম হননি। ইয়লদুজ ইতিমধ্যে হঠাৎ গজনী অধিকার করেন। ১২০৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি খাওয়ারিজম শাহের সাথে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকতে না পেরে সসৈন্য পাঞ্জাবের দিকে অগ্রসর হয়ে তা অধিকার করে বসেন। খাওয়ারিজম শাহ ইয়লদুজকে শাস্তি প্রদানের উদ্দেশ্যে পাঞ্জাব পর্যন্ত অগ্রসর হলে দিল্লী সালতানাত বিপন্ন হতে পারে এ আশঙ্কায় কুতুবউদ্দিন অস্ত্র ধারণ করে ইয়লদুজকে শুধু পাঞ্জাব হতেই নয়, গজনী হতেও বিতাড়িত করেন। কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের মধ্যেই কুতুবউদ্দিন গজনীবাসীর নিকট অপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ফলে ইয়লদুজ পুনরায় গজনী অধিকার করলে কুতুবউদ্দিন দিল্লীতে প্রত্যাবর্তন করেন। এতে আফগানিস্তান ও ভারতের রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপনের সুযােগ বিনষ্ট হয়ে যায়। 

ইতিপূর্বে পরাজিত চান্দেলা রাজপুতগণ কালিঞ্জরে, গহরওয়ালগণ ফরুখাবাদ ও বদাউনের কিয়দংশে এবং প্রতিহারগণ গােয়ালিয়রে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে কুতুবউদ্দিন তাদের কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেন। মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজীর হত্যার পর আলী মর্দান খলজী বাংলার শাসনকর্তার পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি কুতুবউদ্দিনের মৃত্যুর পর "আলাউদ্দিন’ উপাধি ধারণ করে নিজেকে বাংলার স্বাধীন নরপতি বলে ঘােষণা করেন। 

স্বাধীন সুলতান হিসেবে কুতুবউদ্দিন আইবেকের ৪ বছরকাল শাসনামলে নানাবিধ সমস্যার উদ্ভব হওয়ায় তিনি নতুন কোনাে রাজ্য বিজয় করতে সমর্থ না হলেও তিনি তার বিরােধী শক্তিসমূহের মূলােৎপাটন করতে সক্ষম হন। অতঃপর তিনি নিজ নামে খােৎবা পাঠ এবং মুদ্রাঙ্কনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি তাঁর কঠোর পরিশ্রমের ফল অধিক দিন ভােগ করার সুযােগ পান নি। ১২১০ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে লাহােরে চৌগান বা পােলাে খেলার সময় আকস্মিকভাবে অশ্বপৃষ্ঠ থেকে পড়ে গিয়ে কুতুবউদ্দিন আইবেক গুরুতরভাবে আহত হন এবং সে আঘাতেই তা জীবননাট্যের যবনিকাপাত ঘটে।


কুতুবউদ্দিন আইবেক এর চরিত্র ও কৃতিত্ব 

দক্ষ সেনাপতি হিসেবে : যুগের বিস্ময়কর সৃষ্টি কুতুবউদ্দিন আইবেক সামান্য ক্রীতদাস হতে তার কর্মময় জীবন আরম্ভ করে দিল্লীর প্রথম স্বাধীন সুলতান হবার গৌরব অর্জন করেন। তিনিই ভারতীয় উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মুসলিম শাসনের গােড়াপত্তন করেন। ভারতীয় উপমহাদেশে কুতুবউদ্দিনের বিজয় পূর্ববর্তী বিজয় অপেক্ষা অধিক বিস্তৃত এবং স্থায়ী হয়েছিল। কুড়ি বছরের মধ্যেই তিনি উত্তর ভারতে সিন্ধু হতে গঙ্গা এবং হিমালয় হতে বিন্ধ্যপর্বত পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলের অধীশ্বর হয়েছিলেন। তার আমলেই ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী কর্তৃক বঙ্গদেশ বিজিত ও মুসলিম সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।

শাসক হিসেবে : কুতুবউদ্দিন শুধুমাত্র বিজেতা এবং সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না, একজন যােগ্যতাসম্পন্ন শাসক হিসেবেও সমসাময়িক বিশ্বে খ্যাত ছিলেন। তিনি নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য সম্পন্ন করতেন এবং রাজ্যের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য নিজেকে নিয়ােজিত করেন। তাঁর শান্তিময় রাজত্বকালে ধনাগারে কোনাে প্রহরীর দরকার ছিল না; মেষপালের কোনাে রাখালের প্রয়ােজন ছিল না। একই পুষ্করিণীতে মেষ ও নেকড়ে বাঘ পাশাপাশি পানি পান করত। চোর ও চৌর্যবৃত্তি সম্বন্ধে কোনাে প্রশ্নই উঠতে।

কুতুবউদ্দিনের বদান্যতা : বদান্যতায়ও তিনি ছিলেন দ্বিতীয় হাতেম। বদান্য সুলতান কুতুবউদ্দিন প্রত্যহ লক্ষ লক্ষ মুদ্রা অকাতরে দান করতেন বলে ঐতিহাসিকগণ তাকে “লাখ-বখস” বা লাখে লাখে প্রদানকারী উপাধিতে ভূষিত করেন। ইসলামের একনিষ্ঠ সেবক হিসেবে তিনি ধর্মীয় অনুশাসনাবলির প্রতি ছিলেন বিশেষ শ্রদ্ধাশীল। তবে তিনি পরধর্মে সহিষ্ণু ছিলেন এবং হিন্দুদের প্রতি সদয় ব্যবহার করতেন। 

প্রজাকল্যাণার্থে কুতুবউদ্দিন : মাত্র ৪ বছরকাল রাজত্বকালে কুতুবউদ্দিন তেমন কোনাে নতুন সংস্কার প্রবর্তন করার সুযােগ পাননি। তার শাসনের ভিত্তি ছিল সামরিক শক্তি। তিনি পূর্ববর্তী রাজস্ব ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখেন এবং স্থানীয় শাসনভার স্থানীয় কর্মচারিদের উপর ন্যস্ত করেন। প্রাদেশিক রাজধানী নগরগুলােতে নিযুক্ত মুসলমান রাজকর্মচারিগণ সেনাধ্যক্ষ এবং কাজীর সাহায্যে প্রদেশের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন। 

কুতুবউদ্দিনের বিদ্যোৎসাহিতা : আইবেক একজন বিদ্যোৎসাহী শাসক হিসেবেও ইতিহাসে খ্যাত ছিলেন। হাসান নিযামী, ফখরে মুদাব্বীর এবং অন্যান্য উলামা ও বিদ্বান লােকদেরকে তিনি স্বীয় দরবারে উচ্চ মর্যাদা দান করেন। যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক হাসান নিযামী 'তাজুল মা'সীর’ নামক ইতিহাস গ্রন্থটি তার নামে উৎসর্গ করেন। 

স্থাপত্য শিল্পের প্রতিও কুতুবউদ্দিনের সমান অনুরাগ ছিল। ১১৯১-১১৯২ খ্রিস্টাব্দে দিল্লীতে তিনি কুয়াত-উল-ইসলাম এবং আজমীরে ‘আড়াই-দিন-কা-ঝােপড়া' মসজিদটি নির্মাণ করেন। দিল্লীর ‘কুতুব মিনার' নির্মাণ ছিল কুতুবউদ্দিন আইবেকের সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি। এটি ছিল তৎকালীন বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার। ১১৯৯ খ্রিস্টাব্দে রাজ্য বিজয়ের স্মারক এবং ইসলামের বিজয় গাঁথা বিশ্ব দরবারে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত সুফী কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর নামানুসারে সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবেক মিনারটির নির্মাণকার্য আরম্ভ করেন এবং তা সমাপ্ত হয় তাঁরই জামাতা ও পরবর্তী সুলতান ইলতুৎমিশের রাজত্বকালে। দূর হতে মিনারটি অবলােকন করলে একে বৃহদাকার কারখানার চিমনী অথবা বাতিঘরের মতাে মনে হয় এবং কাছ হতে একে লােহিত শিলা ও মর্মর পাথরে তৈরি ঊর্ধ্বাকাশে উঠে-যাওয়া বাঁশির আকৃতির ন্যায় প্রতীয়মান হয়। এর উচ্চতা ২৩৮ ফুট। মিনারটি ৪ তলাবিশিষ্ট এবং ৪৭ ফুট ব্যাসের বুনিয়াদের উপর নির্মিত। এর বারান্দা সমকোণবিশিষ্ট পাথরের দ্বারা নির্মিত এবং মিনারটির ঘােরানাে সিঁড়ির গায়ে পবিত্র কুরআন শরীফের আয়াত খােদাই করা রয়েছে। এতে চিরাচরিত ভারতীয় বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তে মুসলিম স্থাপত্যের স্বতন্ত্র ছাপ ফুটে উঠেছে। দিল্লীর প্রথম স্বাধীন সুলতান হিসেবে কুতুবউদ্দিন আইবেকের কৃতিত্ব ছিল অসাধারণ।

তথ্যসূত্র : 
বই : ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
লেখক : হাসান আলী চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

নবীনতর পূর্বতন