Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

হযরত উমর ফারুক (রাঃ) এর উপদেশ

ওমরের বানি | খলিফা উমরের উক্তি | উক্তি | ইসলামিক উক্তি | শিক্ষামূলক উক্তি | বাণী | শিক্ষামূলক বাণী | বাণী চিরন্তন বাস্তবতা | মনীষীদের বাণী | বাণী চিরন্তনী | ইসলামিক বাণী | উপদেশ মূলক বাণী | বঙ্গ টুইট

মুসলিম জাহানের তৃতীয় খলিফা, খলিফাতুল মুসলিমিন হযরত উমর ফারুক (রাঃ)। যিনি অর্ধ-পৃথীবি শাসন করেছেন। যার সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন - আমার পরে যদি কেউ নবি হতো, তাহলে উমর'ই হতো সে ব্যক্তি। 

এই মহান মনিষীর কিছু মূল্যবান বাণী নিচে দেওয়া হলো -


দুনিয়াতে সম্মান লাভ হয় ধন-সম্পদের দ্বারা। কিন্তু আখেরাতে সম্মান লাভ হবে নেক আমলের দ্বারা।

আজকের কাজ কাল করব বলে রেখে দিয়াে না। এতে ক্রমে অনেক কাজ জমে যাবে।

নির্বোধকে বন্ধু বানাবে না। উপকার করতে গিয়ে সে তােমার ক্ষতি করে বসবে।

নিয়ন্ত্রিত জিহ্বা-ই সর্বোৎকৃষ্ট বন্ধু।

হীন থেকে হীন পেশা অবলম্বন করা, মানুষের কাছে হাত পাতার চেয়ে অনেক ভালাে।

যে ধনীদের সাথে সম্পর্ক রাখে, সে দুনিয়াদার।

যে অহংকার নিয়ে কোনাে কাজ করে, আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ করেন।

উপঢৌকন হিসেবে যে আমার দোষ-ত্রুটি আমার কাছে প্রেরণ করে, আল্লাহর তার মঙ্গল করুন।

যেখানে ধন-সম্পদের পদচারণা ঘটে, হিংসা-বিদ্বেষ আপনা আপনিই সেখানে এসে হাজির হয়।

যার ব্যাপারে তুমি ঘৃণাবোেধ পােষণ কর, তাকে ভয় করে চলাে।

দুনিয়া সামান্য অর্জন করাে; তাহলে শান্তিতে থাকতে পারবে।

দুনিয়ার চিন্তা অন্ধকার আর আখেরাতের চিন্তা আলাে।

ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করাে না।

আনন্দ তিরােহিত হলে দুঃখিত না হওয়া চাই।

আল্লাহকে ভয় করাে, শীঘ্রই তাঁরই কাছে ফিরে যেতে হবে।

লােভ, রাগ ও অতিমাত্রায় যৌনাবেগ থেকে দূরে থাকো; তাহলে দুনিয়ার সকল বিপদ থেকে আপনা-আপনিই বেঁচে যাবে।

মিথ্যা অন্যায়ের বাহন আর অন্যায় ধ্বংসের বাহন।

বিনয় হলাে, আগে সালাম করা, মজলিসে কম জায়গা নিয়ে বসা এবং তােষামােদকে ঘৃণা করা।

অধিক আশা করাে না। কারণ, তার কোনাে শেষ নেই।

তিনটি কাজ করলে মানুষের সাথে গাঢ় সম্পর্ক এবং আন্তরিক ভালােবাসা সৃষ্টি হয় -
১. কারাে সাথে দেখা হলে প্রথমে নিজে সালাম দেওয়া।
২. তাকে ভালাে নামে ডাকা এবং
৩. মজলিসে তাকে সম্মান ও মর্যাদার স্থানে বসানাে।

অনুগত স্ত্রী ঈমানের পরে সবচেয়ে বড় নেয়ামত।

যে নিজেকে আলেম হিসেবে প্রচার করে সে জাহেল।

'তাওবাতুন্নাছুহ’ বলা হয় অন্যায় কাজ থেকে এমনভাবে তাওবা করা যে, আর কখনাে তা না করা।

বেশি হাসলে আয়ু কমে ও গাম্ভীর্য লােপ পায়। উপরন্তু এটা মৃত্যু সম্বন্ধে উদাসীনতার পরিচায়ক।

বার্ধক্যের পূর্বে যৌবন আর মৃত্যুর পূর্বে বার্ধক্যকে গনীমত মনে করাে।

নিকৃষ্ট আওয়াজ দুটা।
১. গানের আওয়াজ।
২. স্বজনের মৃত্যুর বিলাপ-ক্রন্দনের আওয়াজ।

নিচের কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত লিখুন :