রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস PDF বই

রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস PDF বই - বঙ্গ টুইট - Bongo Tweet

রােহিঙ্গা জাতির ইতিহাস - pdf || রােহিঙ্গা ইতিহাস সমস্যা ও সমাধান pdf || রােহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন || রােহিঙ্গা নিয়ে সাধারণ জ্ঞান || রােহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা কি || রােহিঙ্গারা কবে বাংলাদেশে আসে || রােহিঙ্গা বাংলাদেশ || রােহিঙ্গা ক্যাম্প কোথায় || আরাকানের অধিবাসীদের কি বলে || রােহিঙ্গা ভাষা || রােহিঙ্গা নির্যাতন ভিডিও || রােহিঙ্গা রচনা ইংরেজী || রােহিঙ্গারা নাগরিকত্ব হারায় কত সালে || রােহিঙ্গা শরণার্থী শিবির দেখার অভিজ্ঞতা || বঙ্গ টুইট || Bongo Tweet 

বই পরিচিতি:

বইয়ের নাম:    রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস
লেখক নাম:     এন. এম. হাবিব উল্লাহ
বইয়ের ধরণ:    ইতিহাসের PDF বই 
পৃষ্ঠা সংখ্যা:      ১২৫ পৃষ্ঠা 
ফাইল সাইজ :    ১৬.৬৩ এম.বি

বই সম্পর্কে: 

মুখবন্ধ

অধ্যাপক এন. এম. হাবিব উল্লাহ রচিত ও বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সােসাইটি লিঃ কর্তৃক প্রকাশিত 'রােহিঙ্গা জাতির ইতিহাস' শীর্ষক পুস্তকখানি রােহিঙ্গাদের ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে বাংলা ভাষায় রচিত সম্ভবত সর্বপ্রথম পুস্তক। 

আমরা বিভিন্ন সময় উদ্বিগ্নতার সাথে লক্ষ করি, আরাকান থেকে বিতাড়িত হয়ে লক্ষ লক্ষ রােহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসে। পুনরায় বাংলাদেশ ও মায়ানমার সরকারের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক আলােচনার পর লক্ষ করি মায়ানমার সরকারের সম্মতিক্রমেই রােহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা স্বদেশে ফিরে যায়। এর মাধ্যমে আরাকানে রােহিঙ্গা জাতির নৃতাত্ত্বিক অস্তিত্বের নৈতিক ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি মেলে।

আরাকানে রােহিঙ্গা জনগােষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক পরিচিতির উপর ঐতিহাসিক তথ্য বিভিন্ন কারণে যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। নিঃসন্দেহে অধ্যাপক এন. এম. হাবিব উল্লাহ রচিত আলােচ্য পুস্তকখানি আমাদের সেই অভাব পূরণে যথেষ্ট সহায়ক হবে। 

আমরা লক্ষ করেছি, অধ্যাপক এন, এম, হাবিব উল্লাহ প্রায় দু’দশক ধরে রােহিঙ্গা জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসের উপর দেশের জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন সাময়িকী পত্রপত্রিকায় প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশ করে আসছেন। বাংলাদেশী লেখকদের মধ্যে রােহিঙ্গাদের উপর সম্ভবতঃ তিনিই সর্বাধিক প্রবন্ধ রচনা করেছেন। 

এ প্রসঙ্গে আরও একটি কথা উল্লেখ করা যায়, আমাদের স্মরণকালে তিন তিনবার আরাকানে রােহিঙ্গা জাতির ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত উত্তপ্ত হয়েছে এবং দু’সরকারের মধ্যে বহু দেন-দরবার হয়েছে।

১৯৫৮ সালে একবার রােহিঙ্গারা আরাকান থেকে নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তদানিন্তন পূর্ব-পাকিস্তান ও বার্মার মধ্যে সরকারী পর্যায়ে দেন-দরবার হয়। বার্মা সরকার পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেয় এ এবং ‘আকিয়াবের' কিছু মগ এই সমস্যার সৃষ্টি করেছিল বলে তদানীন্তন পূর্ব- পাকিস্তানের সরকারী প্রতিনিধিদের জানায়।

আরও দু'দফায় রােহিঙ্গা ইস্যুটি পৃথিবীর গণমাধ্যমসমূহে স্থান দখল করে নেয়। ১৯৭৮ সালে আরাকান হতে বিতাড়িত হয়ে কয়েক লক্ষ রােহিঙ্গা নর- নারী, যুবা-বৃদ্ধ, শিশু-কিশাের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে আসলে রােহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বাংলাদেশ ও বার্মা সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক দেন-দরবারের পর বার্মা সরকার সকল উদ্বাস্তু ফিরিয়ে নেয়। 

১৯৯২ সালের শুরু হতে লক্ষ লক্ষ রােহিঙ্গা পুনরায় উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এক্ষেত্রেও কূটনৈতিক দেন-দরবার হয়েছে এবং মায়ানমার সরকার উদ্বাস্তুদের ফেরত গ্রহণ করতে সম্মত হয়েছে। 

রােহিঙ্গা জাতির ইতিহাস এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের যথেষ্টভাবে ধারণা লাভ করা প্রয়ােজন। কেননা, এই ইস্যুটি নিয়ে সৃষ্ট বিবাদে বাংলাদেশ অন্যতম প্রতিপক্ষ। 

বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চায় আরাকানের ইতিহাসও অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়ােজন বলে আমি মনে করি। পঞ্চদশ শতকে বাংলাদেশের জনসমষ্টির একাংশ স্বাধীন আরাকানের গােড়া পত্তন করেছিল। বাংলাদেশের আমলা-মন্ত্রী, কবি-সাহিত্যিক ও কৃষক-শ্রমিকেরা গিয়ে গড়ে তুলেছিল স্বাধীন আরাকানের সােনালী যুগ। ষষ্ঠদশ, সপ্তদশ শতকে আরাকানের রাজসভা ছিল বাংলা সাহিত্য চর্চার একমাত্র প্রাণকেন্দ্র। 

অধ্যাপক এন, এম, হাবিবউল্লাহ কক্সবাজারের বাসিন্দা। কক্সবাজার কলেজে তিনি বহু বছর অধ্যাপনা করেছেন। কক্সবাজার সীমান্তের ওপারে আরাকান রাজ্য। আরাকানই হলাে রােহিঙ্গা জাতির আবাসভুমি। কক্সবাজারের স্থায়ী অধিবাসী ও রােহিঙ্গা জাতির মধ্যে রয়েছে ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত গভীর মিল। 

পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সীমান্তে একই জনগােষ্ঠীকে সীমান্তের দু'পাড়ে বসবাস করতে দেখা যায়। ভৌগােলিক সীমান্তের ভারত অঞ্চলে যারা 'নাগা' জাতি নামে পরিচিত। মায়ানমার সীমান্তে সেই জনগােষ্ঠী 'কাচিন' নামে পরিচিত। ভারতে যারা ‘মিজো' নামে পরিচিত, মায়ানমারে একই জনগােষ্ঠী ‘সীন' জাতি নামে পরিচিত। মায়ানমারে যারা 'শান' জাতি নামে পরিচিত, থাই সীমান্তের অভ্যন্তরে তারা 'থাই' জাতি নামে পরিচিত। ইতিহাসে 'মগ' নামে পরিচিত জনগােষ্ঠী আরাকানে 'রাখাইন' নামে পরিচিত। এদের অনেককে বাংলাদেশে 'মারমা' নামে আখ্যায়িত করা হয়। 

সঙ্গত কারণেই আমরা বলতে পারি, অধ্যাপক এন, এম, হাবিব উল্লাহ রােহিঙ্গাদের ইতিহাস গবেষণায় আত্মনিয়ােগ করে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আলােচ্য গ্রন্থে রোহিঙ্গাদের অতীত হতে বর্তমানকাল পর্যন্ত ইতিহাসের ধারাকে সাতটি অধ্যায়ের মাধ্যমে সময়ভিত্তিক ক্রম অনুসারে সাজানো হয়েছে। 

আরাকানের ইতিহাস আমাদের গৌরবােজ্জ্বল অতীতের অংশবিশেষ। পুস্তকটি আমাদের ইতিহাস সচেতনতার ঘাটতি পূরণে যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ইতিহাস বিভাগ আরাকানের ইতিহাসের উপর আরও তথ্যবহুল প্রবন্ধ-পুস্তক রচনায় এগিয়ে আসবেন। 

এ. জেড. এম. শামসুল আলম 
সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, 
ঢাকা।

অস্বীকৃতি :

আমাদের সাইটের PDF বইগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত। প্রকাশণীর অনুlআমরা কখনো নিজে PDF করিনা। বইগুলো যেহেতু সংগৃহীত তাই আমাদের উপর প্রকাশণীর কোন অভিযোগ গণ্য হবে না। সেক্ষেত্রে যে PDF টি করেছে তার কাছে ক্লেইম করতে পারেন।


রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস PDF বই  

মন্তব্য করুন

নবীনতর পূর্বতন