খাতুনে জান্নাত হজরত ফাতেমা রাযি. একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে হাজির হলেন এবং তার হাত মােবারক পিতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখালেন। ইয়া রাসূলাল্লাহ, চাক্কি পিষতে পিষতে আমার হাতে ফোসকা পড়ে গেছে। পানির মশক টানতে টানতে বুকে দাগ পড়ে গেছে। ইয়া রাসূলাল্লাহ, খায়বার বিজয়ের পর তাে অনেক মুসলমানকে গােলাম বাদি বণ্টন করে দিয়েছেন, যারা তাদের ঘরে কাজ করে। তাই আমাকে একটা গােলাম বাদি দিন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইচ্ছা করলে একটি গােলাম-বাদি দিতে পারতেন। কিন্তু শুধু বললেন- ফাতেমা যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত মুসলমানের জন্যে গােলাম বাদির ব্যবস্থা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্যে কোনাে গােলাম-বাঁদির ব্যবস্থা হবে না।
তারপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্নেহের স্বরে কন্যা হজরত ফাতেমা রাযি.-কে বললেন, আমি তােমাকে গােলাম বাদির চেয়েও উত্তম একটা পদ্ধতি বলে দিচ্ছি। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার সুবাহনাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদু লিলাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ তাসবিহটি কন্যা হজরত ফাতেমাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন বলে এর নাম তাসবিহে ফাতেমি। দেখুন সবার জন্যে গােলাম বাঁদি বরাদ্দ হচ্ছে, ধন সম্পদ বণ্টন হচ্ছে, আর আল্লাহর হাবিবের পরিবারের অবস্থা এই।
অতএব, কথা হলাে, স্বয়ং বক্তা শ্রোতাদের চেয়ে বেশি আমল করবে। তাহলে অন্তরে কথার আছর হবে। আল্লাহ আমাদের রাসূলুল্লাহর আদর্শ মতাে চলার তাওফিক দিন। আমিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন