বাংলাদেশের প্রথম প্রকাশিত ৮ টি ডাকটিকিট এর ছবি |
মোবাইলে কথা বললে যেমন টাকা নেয়া হয় বিল হিসেবে, তেমনই ডাক বিভাগের মাধ্যমেও চিঠি বা পার্সেল পাঠালে টাকা নেয়া হয়। একে ডাকমাশুল বলে।
ধরা যাক, একটি চিঠি পাঠাতে ৫৳ ডাকমাশুল লাগবে। তখন প্রেরক ৫৳ প্রদান করলে ডাকঘরের কর্মচারী খাম বা এনভেলাপ এর উপর ৫৳ মূল্যমানের একটি সীলমোহর মেরে দেয়। যাতে ৫৳ কথাটি লেখা থাকে। ডাকবিভাগও বুঝতে পারে যে, সেবাগ্রহীতা ডাকবিভাগকে ৫৳ প্রদান করেছেন।
এই সীলমোহর এর ছাপের পরিবর্তে ছোট ছোট টিকিট কিনতে পাওয়া যায়। তখন ৫৳ দামের একটি টিকিট ক্রয় করে খামের গায়ে লাগিয়ে দিলেই তা ডাকবিভাগ প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেবে।
চিঠির ওজন যদি বেশি হয়, তবে এই ডাকমাশুলও আনুপাতিক হারে বাড়তে থাকবে। তখন আরও অতিরিক্ত টিকিট এর প্রয়োজন হবে।
প্রকৃতপক্ষে ডাকটিকিট হলো একটি প্রিপেইড বিল পে সিস্টেম। আগে অর্থপ্রদান; পরে সেবাগ্রহণ।
টিকিটের ওই ছোট্ট টুকরা কাগজ ফাঁকা না রেখে বুদ্ধিমান কর্মকর্তারা ওতে বিভিন্ন তথ্য ও শিক্ষামূলক ছবি ছেপে দিতেন। এভাবেই ডাকটিকিট বৈচিত্র্যে ভরপুর হয়ে যায়।
ছোট্ট এক টুকরো কাগজ থেকেই জানা যায় সংশ্লিষ্ট দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, পশু-পাখি, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান, অর্থনৈতিক বিষয়াদি, ধর্ম, রাজনীতি প্রভৃতি বিষয়ে।
ডাকটিকিট থেকে তথ্য ও জ্ঞান সংগ্রহ করাকে বলে "ফিলাটেলি"। এটি জ্ঞানের একটি ব্যতিক্রমী শাখা।
ইন্টারনেট সহজলভ্য হবার আগ পর্যন্ত বিশ্বের জনপ্রিয় শখগুলোর একটি ছিল "ডাকটিকিট সংগ্রহ করা"।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন