মাযহাব কি ও কেন

মাযহাব কি ও কেন কেন - বঙ্গ টুইট - Bongo Tweet

ইসলাম তার অনুসারাদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি অনিবার্য করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তােমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আল্লাহর দীনকে ধারণ করাে এবং বিচ্ছিন্ন হয়াে না।" সেজন্য তার অনুসারীদের মধ্যে কোনাে বিভেদ ও পার্থক্য স্বীকার কর়া হয় না। তাই বলে ইসলামে সংকীর্ণতাও নেই, নেই গোঁড়ামি। চিন্তাশীল মানুষের জন্য মুক্তবুদ্ধিচর্চার সবরকম সুযোগ রয়েছে এখানে। রাসূলুল্লাহ (সা)-এর ইন্তেকালের পর ইসলাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিমদের নতুন নতুন সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণার প্রয়োজন পড়ে। ইসলামের উদার গবেষণা নীতিতে মুসলিম মনীষীগণ গবেষণায় নিয়ােজিত হন। ফলে গড়ে ওঠে বিভিন্ন মতবাদ ও চিন্তাগােষ্ঠী। আল্লাহ তায়ালা ও রাসূলুল্লাহ (স)-এর নির্দেশনায় গড়ে ওঠা এসব মতবাদই মাযহাব' নামে পরিচিত।

মাযহাব কি এবং মাযহাবের সংজ্ঞা

মাযহাব (مَزهَبٌ) শব্দটি একবচন। এর বহুবচন مَزَاهِبُ (মাযাহিবু)। এর অর্থ: চলার পথ, ধর্মমত, বিশ্বাস। এর আরবি প্রতিশব্দ হলাে اَلطَّرِ يْقُ (তরিক) বা রাস্তা, অনুসৃত পথ।

সাধারণভাবে বলা যায়, ইসলামি শরিয়তের বিভিন্ন আইন-কানুন, আমল, লেনদেন, পারস্পরিক মেলামেশা ও ইবাদত সম্পর্কিত মৌলিক আকিদাগত বিষয় অভিন্ন রেখে এগুলাের ব্যাবহারিক দিক ও শাখা-প্রশাখাতে যথাযথ যােগ্যতাসম্পন্ন মুজতাহিদদের বিভিন্ন মতামত প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ গড়ে উঠেছে তাকে মাযহাব বলে।

অন্যভাবে বলা যায় - মুজতাহিদদের উদ্ভাবিত মূলনীতির আলােকে বের হওয়া মাসয়ালার নাম মাযহাব।

বিভিন্ন মাযহাব উৎপত্তির কারণ

রাসুলুল্লাহ (স)-এর যুগে মুসলিমদের মধ্যে মতবিরোধের সুযোগ ছিল না। খুলাফায়ে রাশিদা এর স্বর্ণযুগেও কোনাে মাযহাব জন্ম নেয়নি। কিন্তু এর পরবর্তী সময় নানা ঘটনা, কারণ ও পরিপ্রেক্ষিত ইসলামে বিভিন্ন মাযহাবের জন্ম দেয়। যেমন-

১. ইসলামের প্রসার ও বিশ্বজনীন প্রেরণা : রাসুলুল্লাহ (স)-এর ইন্তেকালের অল্পকালের মধ্যেই ইসলাম দূর-দূরান্তে বিস্তৃত হয়। বিভিন্ন ধর্ম, গােত্র, অঞ্চল, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষ এ ধর্ম গ্রহণ করে। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় একই সময় এমন সব লােকের মধ্যে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে, চিন্তা ও দর্শনের ক্ষেত্রে যাদের বিভেদের অন্ত ছিল না।

এসব স্থানের লােকদের দীর্ঘদিন আচরিত ধর্ম ও সংস্কৃতির ভিন্নতার কারণে ধর্ম অনুশীলনের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বিজিত জাতিসমূহের শিক্ষা-সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ঐতিহ্যের যতটুকু সম্ভব তা গ্রহণ করে মুসলিম জাতি ইসলামের বিশ্বজনীন ভাবমূর্তি গড়ে তােলার প্রয়াস পায়। জাতিগত পর্যায়ে বিভিন্ন মতপার্থক্য সমর্থন এবং অপর সংস্কৃতির সাথে মুসলিম সংস্কৃতির এ সমন্বয় প্রচেষ্টা ইসলামে বিভিন্ন মাযহাব তৈরির পথ সুগম করে।

২. আইন ব্যাখ্যাদাতার সংখ্যাধিক্য : রাসুল (স)-এর যুগে আইন প্রণয়ন ও ব্যাখ্যার একমাত্র অধিকার ছিল তাঁর। কোনাে নতুন সমস্যার উদ্ভব হলে কিংবা সাহাবিদের মনে নতুন কোনাে জিজ্ঞাসা জন্ম নিলে তাঁরা সাথে সাথে রাসুলুল্লাহ (স)-এর কাছ থেকে তার সমাধান জেনে নিতেন। ফলে এ সময় মুসলমানদের মধ্যে কোনাে মতবাদগত ভিন্নতা তৈরি হতে পারেনি। সাহাবিদের যুগে আইন ব্যাখ্যাকারী হিসেবে সব সাহাবি (রা)-ই ভূমিকা পালন করেন। তাবেয়ি ও তাদের পরবর্তী যুগে এ সংখ্যা আরাে বৃদ্ধি পায়। আইন ব্যাখ্যাকারী এসব, ব্যক্তিদের ভিন্নতা ও বিপুল সংখ্যাধিক্যের কারণে তাদের পারস্পরিক ব্যাখ্যায় পার্থক্য তৈরি হতে থাকে। আর এর পথ ধরেই জন্ম নেয় বিভিন্ন মাযহাব।

৩. কুরআন-হাদিসে বিভিন্নার্থক শব্দের ব্যবহার : কুরআন মাজিদ ও হাদিসে একাধিক অর্থবােধক এবং ব্যাপক ভাবসম্পন্ন অসংখ্য শব্দের উপস্থিতি রয়েছে। এসব শব্দ একই সাথে বিভিন্ন রকমের তাৎপর্য বহন করে। মুজতাহিদগণ দীনি মাসয়ালা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এ জাতীয় শব্দের বিভিন্ন অর্থ থেকে একটিমাত্র অর্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এর যেকোনাে একটি অর্থকে প্রাধান্য দেওয়া নিয়েই মুজতাহিদদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে নানারকম মতবাদ। আর এর পথ ধরেই জন্ম নিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মাযহাব।

৪. হুকুমের ধরন নিয়ে মতবিরােধ : আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল (স) বিভিন্ন প্রসঙ্গে মুসলিম উম্মাহর জন্য প্রয়ােজনীয় হুকুম-আহকাম দিয়েছেন। এগুলাের মধ্যে কিছু হুকুম খাস বা নির্দিষ্ট। এগুলাে কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গােষ্ঠীর জন্য নির্দিষ্ট। অন্যরা এর আওতাবহির্ভূত। আবার কিছু হুকুম আছে আম বা সর্বজনীন। সাধারণভাবে সবাই এ হুকুম পালনে বাধ্য। কুরআন-হাদিসের হুকুম-আহকামের মধ্যে কোনটি আম আর কোনটি খাস তা নিয়ে মতবিরােধের কারণেও শরয়ি বিধান উদ্ভাবনে মুজতাহিদদের মধ্যে মতবিরােধ হয়। যার ফলে মাযহাব উৎপত্তি লাভ করে।

আরও পড়ুনঃ

৫. অর্থ গ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য : কুরআন-হাদিসের অর্থ গ্রহণে মুজতাহিদগণ কেউ কেউ আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করেন এবং সে হিসেবে মাসয়ালা উদ্ভাবন করেন। কেউ কেউ পারিভাষিক অর্থ গ্রহণ করেন এবং সে হিসেবেই মাসয়ালা উদ্ভাবন করেন। অর্থগ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গিগত এ পার্থক্যের জন্য ইমামদের উদ্ভাবিত মাসয়ালায় পার্থক্য গড়ে ওঠে। এর ফলে মাযহাব উৎপত্তি লাভ করে।

৬. মাসয়ালা রচনার নীতিগত তারতম্য : ইমামদের গবেষণা পদ্ধতি ও মাসয়ালা উদ্ভাবন প্রক্রিয়া একরকম ছিল না। তাদের কেউ হাদিসের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বেশি, কেউ গুরুত্ব দিয়েছেন ইজমা বা কিয়াসে। দলিল হিসেবে হাদিস গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন নীতি গ্রহণ করেছিলেন। মাসয়ালা রচনায় গৃহীত তাদের পৃথক নীতি এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতাগত এ তারতম্যের জন্যও ইসলামে বিভিন্ন মাযহাব জন্মলাভ করে।

বিভিন্ন রকম মাযহাব

ইসলামে যেসব মাযহাবের উদ্ভব ঘটে তার মধ্যে কিছু রাজনৈতিক, কিছু ধর্মতাত্ত্বিক এবং কিছু দার্শনিক। ধর্মীয় রাজনৈতিক মাযহাবের অন্তর্ভুক্ত হলাে শিয়া, খারিজি ও সুন্নি মাযহাব। ধর্মতাত্ত্বিক মাযহাবের মধ্যে রয়েছে জাবরিয়া, কাদরিয়া, মুরজিয়া ও সিফাতিয়া মাযহাব আর দার্শনিক মাযহাব হিসেবে মুতাযিলা, আশারিয়া, সুফি ও ফালাসিফা মাযহাব প্রসিদ্ধি পেয়েছে।

ফিকহশাস্ত্রের মাযহাব

ফিকহশাস্ত্রের চারটি মাযহাব প্রসিদ্ধি পেয়েছে। এগুলাে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মাযহাব সুন্নি মাযহাবের আওতাভুক্ত। পৃথিবীর সব সুন্নি মুসলিমই এ মাযহাবগুলাের কোনাে না কোনাে একটির অনুসরণ করেন। কেননা মুসলিম উম্মাহ এ মাযহাব চারটির সত্যতার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌছেছে। তারা এ সিদ্ধান্তেও একমত হয়েছেন যে, যেকোনাে মুসালমকে এককভাবে কেবল যেকোনাে একটি মাযহাবের অনুসরণ করতে হবে। একজন মুসলিম একাধিক মাযহাবের অনুসরণ করতে পারবেন না। মাযহাব চতুষ্টয় হলাে- ১. হানাফি মাযহাব ২. শাফিঈ মাযহাব ৩. মালিকি মাযহাব ৪. হাম্বলি মাযহাব।

হানাফি মাযহাব

হানাফি মাযহাবের প্রবর্তক ও প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আযম আবু হানিফা (র) (৮০-১৫০ হি.)। আইনতত্ত্বের সূত্র ও নীতি প্রণয়নে তিনি ব্যক্তিগত বিচার-বুদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করতেন বলে তাঁর প্রতিষ্ঠিত মাযহাবকে 'আহলুর রায়' বলে আভিহিত করা হয়। ইসলামি আইনতত্তের প্রবর্তক তিনি। ইসলামি আইন বিন্যস্ত ও বিধিবদ্ধ করার মূল কৃতিত্ব তার। এর পূর্বে আইনের সহায়ক উৎস হিসেবে কিয়াসের প্রবর্তন থাকলেও পরিপূর্ণ মর্যাদায় তিনিই একে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইমাম আবু হানিফা (র) বাস্তব চাহিদাভিত্তিক আইন প্রণয়নের জন্য 'ইসতিহসান' নীতি প্রবর্তন করেন।

হানাফি মাযহাব' প্রবর্তনের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফা (র) তাঁর শ্রেষ্ঠ চল্লিশ জন শিক্ষার্থী নিয়ে একটি 'ফিকহ সম্পাদনা পরিষদ' গঠন করেছিলেন। সুদীর্ঘ ২২ বছরের সাধনা শেষে ১৪৪ হিজরিতে এ পরিষদ তাদের কাজ শেষ করে। হানাফি মাযহাবের বেশির ভাগ মাসয়ালা সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক সম্পাদিত গ্রন্থে স্থান পায় । গ্রন্থটি 'কুতুবে আবু হানিফা' নামে খ্যাতিলাভ করে। এ গ্রন্থে ৮৩ হাজার মাসয়ালা সন্নিবেশিত হয় যার মধ্যে ৪৫ হাজার বাস্তব জীবন সম্বন্ধে। হানাফি মাযহাবকে আরাে প্রণালিবদ্ধ ও সংহত করেন ইমাম আবু হানিফা (র)-এর শ্রেষ্ঠ দুই শিক্ষার্থী ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মদ (র)। স্বাধীন মতামত প্রয়ােগের জন্য আব্বাসি খলিফারা হানাফি মাযহাবকে বিশেষ সম্মানের চোখে দেখতেন। বর্তমানে বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ মুসলিম হানাফি মাযহাবের অনুসারী।

মালিকি মাযহাব

মদিনায় ইমাম মালিক বিন আনাস (র) (৯৩-১৭৯ হি.) প্রতিষ্ঠা করেন মালিকি মাযহাব। তিনি তাঁর সমকালে সর্বশ্রেষ্ঠ হাদিস বিশেষজ্ঞ ছিলেন। এ কারণে তিনি ব্যক্তিগত বিচারবুদ্ধির চেয়ে হাদিসের ওপর বেশি নির্ভর করতেন। 'মুসলাহাত' বা জনকল্যাণ নীতির প্রবক্তা ছিলেন ইমাম মালিক (র)। কুরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস ছাড়াও তিনি 'ইসতিসলাহ-কে মুসলিম আইনের পঞ্চম উৎস বলে গণ্য করতেন। ইমাম মালিক (র) দীর্ঘ ৫০ বছর শিক্ষা ও ফতােয়া দানের কাজে নিয়ােজিত ছিলেন। ফরজ হজ আদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি একবারই মদিনার বাইরে মক্কায় গিয়েছিলেন। এরপর তিনি মদিনা থেকে আর বাহির না হলেও বিশ্বের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে হাদিস শিখতে আসেন এবং তারাই মালিকি মাযহাবকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন।

শাফিঈ মাযহাব

শাফিঈ মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম শাফেয়ি (র) (১৫০-২০৪ হিজরি)। তিনি দুটি পর্যায়ে তাঁর মাযহাব প্রবর্তনের কাজ সম্পন্ন করেন। ১৯৫ হিজরিতে জ্ঞানসাধনায় খ্যাতি ও বিজ্ঞতার শীর্ষে আরােহণের পর তিনি হানাফি ও মালিকি মাযহাবের সমন্বয়ে ইরাকে একটি মাযহাব গড়ে তােলেন। এটি তাঁর মাযহাবে কাদিম বা পুরনাে মাযহাব। এরপর ১৯৮ হিজরিতে ইমাম শাফিঈ মিসর গমন করেন। মিসরের জীবনযাত্রা, লােকদের জীবনদর্শন ও চিন্তাধারার আলােকে তিনি তাঁর মাযহাবে বেশকিছু পরিবর্তন নিয়ে আসেন। ফলে গড়ে ওঠে তাঁর মাযহাবে জাদিদ বা নতুন মাযহাব। ইমাম শাফেয়ি (র) প্রতিষ্ঠিত মাযহাবের আইনকানুন খুব রক্ষণশীল ছিল না আবার খুব যুক্তিভিত্তিকও না। এ মাযহাব মধ্যমপন্থি। এখানে ইজমা ও কিয়াস অত্যন্ত উদারভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। শাফিঈ মাযহাবে কুরআন ও হাদিসের বিভিন্ন বিধানে সবসময় সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা হয়েছে।

হাম্বলি মাযহাব

চতুর্থ ও শেষ স্বীকৃত ফিকহি মাযহাব হাম্বলি মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (র) (১৬৪-২৪১ হিজরি)। হাদিসের সর্বাত্মক ও সঠিক অনুসরণই ছিল তাঁর প্রবর্তিত আইনের মূলকথা। তিনি আইন তত্ত্বের চেয়ে হাদিসেই ছিলেন বেশি দক্ষ। মাসয়ালা উদ্ভাবনে তিনি ইজমা ও কিয়াসকে তেমন গুরত্বপূর্ণ মনে করেন না। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (র) মুতাযিলাদের যুক্তিবাদী মতবাদের বিরুদ্ধে তাঁর মতবাদ গড়ে তােলেন। তিনি তাদের সাথে প্রকাশ্যে বিতর্কে লিপ্ত হন। এসব বিতর্ক সভায় লক্ষ লােকের সমাগম হতাে। সমবেত লােকদের মাধ্যমে হাম্বলি মাযহাব দ্রুত প্রসারিত হয়। হিজরি চতুর্থ শতকের মধ্যে এ মাযহাব ইরাকের বাইরে প্রচারিত হয়। সপ্তম শতাব্দীতে তা মিসরে দারুণ সমাদৃত হয়। কিন্তু শীঘ্রই এর গ্রহণযােগ্যতা কমতে থাকে। কেননা ইমাম আহমদ (র) ছিলেন রক্ষণশীল চিন্তাবিদ। অতিরিক্ত রক্ষণশীলতার জন্যই তাঁর অনুসারীদের সংখ্যা খুব একটা বৃদ্ধি পায়নি।

মন্তব্য করুন

নবীনতর পূর্বতন